সুন্দরবনে উপকূলের মানুষ ঘূর্নিঝড় আম্ফান আতংকে মংলা সমুদ্র বন্দর ৭ নম্বর বিপদসংকেত
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট: করোনা ভাইরাসের মধ্যেই সুন্দরবনের উপকূলে ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ । মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপকূলীয় প্রশাসন।এখন পর্যন্ত অবস্থান ও গতিপ্রকৃতি বলছে, এটি বাংলাদেশের দিকেই আসছে এবং বিধ্বংসী ক্ষমতা নিয়ে এটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বুধবার ভোরের দিকে। করোনা ভাইরাসের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আম্ফান’ নিয়ে সংকটে পড়েছেন সুন্দরবন উপকূলের মানুষ। ঝড়ের আগাম বার্তা পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই কর্মহীন এসব মানুষ যেন অজানা আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা মধ্যে পড়েছেন ভোলার মানুষ নিরাপদ আশ্রয় কিংবা জীবন বাঁচানোর চিন্তা না করে তারা নিজেদের বসতঘর আর সম্পদ রক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। ঝড়ে না জানি কি হয়, এমন চিন্তার তাদের মনে। আবহাওয়া অফিস জানায় , বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল থেকে সোমবার বিকেল তিনটে পর্যন্ত ১০৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে সুন্দরবন অংশ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ দেশের সীমানায় আঘাত করতে পারে। "ঝড়ের মূল অংশ সুন্দরবন অংশে আসলেও এর প্রভাব পড়বে চারদিকেই। ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর,বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালি, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালি, ফেনী, চট্টগ্রাম। সরেজমিন ঘুরে জানা গেলো, সুন্দরবন উপকূলের বাঁধে আশ্রিত এবং ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপচরের বেশিরভাগ মানুষ দারিদ্রতার সঙ্গেই লড়াই করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ে কষ্টে দিন পার করছিলেন এসব পরিবার। যদিও তাদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মহামারি করোনার সেই দুর্যোগ কাটিয়ে না উঠতেই ঘূর্ণিঝড় আমফান পূর্বাভাস ভাবিয়ে তুলেছে সুন্দরবন উপকুলবাসীকে। নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রের চেয়েও বসতভিটা আর সম্পদ রক্ষা নিয়েই চিন্তিত বেশিরভাগ মানুষই আতঙ্কর সাথে কাটছে তাদের দিন।